ল্যাপটপ এর বাজার মূল্য
ডেস্কটপের
বিকল্প হিসেবে, ভ্রমণের সঙ্গী হিসেবে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবেলায় ইত্যাদি
নানা কারণে ল্যাপটপ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। শেষের কারণটি অবশ্য কেবল
বাংলাদেশেই বেশি প্রযোজ্য। বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই ল্যাপটপ ব্যবহার করেন
বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে। কেউ বা আবার পছন্দ
করেন বলে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। অন্যরা কেবল স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলেই
ল্যাপটপের দিকে ঝোঁকেন বেশি। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ল্যাপটপের বাজারে
গেলে বাহারি ডিজাইনের অসংখ্য ল্যাপটপ দেখে খানিকক্ষণের জন্য হলেও কনফিউজড
হয়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। যারা ল্যাপটপ কিনবেন ভাবছেন,
তাদের জন্যই বিস্তারিত কনফিগারেশনসহ আপডেটেড মূল্য সহকারে কিছু ল্যাপটপের
তালিকা দিচ্ছি আজকের এই পোস্টে।
যারা
স্মার্ট বা সুদর্শন ও কালারফুল ল্যাপটপ খুঁজছেন তাদের জন্য ডেলের রয়েছে
ইন্সপাইরন সিরিজের ১৪আর ল্যাপটপ। বাজেটের মধ্যেই দারুণ সব ফিচার নিয়ে ডেল
ইন্সপাইরন নিয়ে এসেছে একদম আপনার পছন্দসই প্রোডাক্ট। যারা বাজেটের মধ্যে
ল্যাপটপ কিনতে যাচ্ছেন তাদের জন্য নিচে রইল নির্দিষ্ট কনফিগারেশন ও মূল্য।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ (যেমন সিস্টেম মেমোরি, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি
কম-বেশি করলে মূল্যও হেরফের হবে)।
যারা
অনেকটা কর্পোরেট আউটলুকের গ্যাজেট পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুণ পছন্দের
একটি ল্যাপটপ হতে পারে আসুস এ৪২এফ ল্যাপটপটি। কালো রঙের উপর ডিজাইন করা এই
ল্যাপটপটি আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধকেও ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
যারা টাইপের কাজ করেন তাদের জন্য এর কিবোর্ডটিও পছন্দ হতে পারে। একটু
ভিন্ন ধরনের সফট কিবোর্ডগুলো দ্রুত টাইপের জন্য অনেকেই পছন্দ করেছেন।

আসুন দেখে নেয়া যাক এর স্পেসিফিকেশন।
এটি
একটি নেটবুক। অর্থাৎ, ছোট আকারের, অতিরিক্ত ব্যাটারি লাইফসহ দারুণ একটি
নেটবুক। এটি দেখতে দারুণ এবং বেশ স্টাইলিশ ও স্মার্ট। তবে সব নেটবুকের মতোই
এটাতেও একই সমস্যা, আপনি এর সঙ্গে কোনো অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভ (ওডিডি)
পাবেন না। এক্সটার্নাল কিনে বয়ে বেড়াতে হবে। যাদের এতটুকু সমস্যা ছাড় দেয়া
যাবে এবং যারা অনেক উচ্চমানের গ্রাফিক্সের কাজ করতে যাচ্ছেন না তাদের জন্য
দারুণ হতে পারে এই নেটবুক।
* এইচডিএমআই হচ্ছে হাই-ডেফিনিশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
Dell Inspiron 14R
- প্রসেসরঃ ইন্টেল কোর আই থ্রি ২.৫৩ গিগাহার্জ।
- পর্দাঃ ১৪”; ১৩৬৬x৭৬৮ রেজুলেশন।
- মেমোরিঃ ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩।
- ভিডিও কার্ডঃ ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল।
- গ্রাফিক্স কার্ডঃ ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল
- হার্ড ডিস্ক ড্রাইভঃ ৩২০ গিগাবাইট।
- ওডিডিঃ ডিভিডি রিড/রাইট কমবো ড্রাইভ।
- ব্যাটারিঃ ৬ সেল।
- ক্যামেরাঃ ১.৩ মেগাপিক্সেল বিল্ট-ইন।
- ওয়্যারলেসঃ ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তি।
- পোর্টসমূহঃ ইউএসবি ৩টি, আরজে-৪৫ ল্যান ১টি, এইচডিএমআই* ১টি, কার্ড রিডার ১টি, অডিও জ্যাক ২টি, মনিটর আউটপুট ১টি।
- ওজনঃ প্রায় ২.৫ কেজি।
- মূল্যঃ ৪৫,০০০ টাকা।
Asus A42F



আসুন দেখে নেয়া যাক এর স্পেসিফিকেশন।
- প্রসেসরঃ ইন্টেল কোর আই থ্রি ২.২৬ গিগাহার্জ (৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম চালাতে সক্ষম)।
- পর্দাঃ ১৪” এইচডি গ্রাফিক্স; ১৩৬৬x৭৬৮ রেজুলেশন (এলইডি ব্যাকলাইট)।
- মেমোরিঃ ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ (এক্সপেন্ডেবল আপ টু ৮ গিগাবাইট)।
- ভিডিও কার্ডঃ ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল।
- গ্রাফিক্স কার্ডঃ ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড।
- হার্ড ডিস্ক ড্রাইভঃ ৫০০ গিগাবাইট।
- ওডিডিঃ ডিভিডি রিড/রাইট কমবো ড্রাইভ।
- ব্যাটারিঃ ৬ সেল।
- ক্যামেরাঃ ভিজিএ বিল্ট-ইন।
- ওয়্যারলেসঃ ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তি।
- পোর্টসমূহঃ ইউএসবি ৩টি, আরজে-৪৫ ল্যান ১টি, এইচডিএমআই* ১টি, কার্ড রিডার ১টি, অডিও জ্যাক ১টি, মনিটর আউটপুট ১টি।
- ওজনঃ প্রায় ২.২ কেজি।
- কিবোর্ডঃ ফাংশন কি’র সঙ্গে সংযুক্ত পূর্ণ নিউমেরিক প্যাড।
- মূল্যঃ ৪০,০০০ টাকা।
Asus 1015PEM Seashell

- প্রসেসরঃ ইন্টেল অ্যাটম পাইনভিউ এন৫৫০ ডুয়েল কোর।
- পর্দাঃ ১০.১” ; ১০২৪x৬০০ রেজুলেশন।
- মেমোরিঃ ১ গিগাবাইট ডিডিআর৩ (এক্সপেন্ডেবল আপ টু ২ গিগাবাইট)।
- হার্ড ডিস্ক ড্রাইভঃ ৩২০ গিগাবাইট।
- ব্যাটারিঃ ৬ সেল।
- ক্যামেরাঃ ০.৫ মেগাপিক্সেল বিল্ট-ইন।
- ওয়্যারলেসঃ ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তি।
- পোর্টসমূহঃ ইউএসবি ৩টি, আরজে-৪৫ ল্যান ১টি, কার্ড রিডার ১টি, অডিও জ্যাক ২টি, মনিটর আউটপুট ১টি।
- ওজনঃ প্রায় ১.২৭ কেজি।
- কিবোর্ডঃ ফাংশন কি’র সঙ্গে সংযুক্ত পূর্ণ নিউমেরিক প্যাড।
- মূল্যঃ ২৬,০০০ টাকা।
…………………..
যারা ভাবছেন চার নং ল্যাপটপটা গেল কোথায়, তাদের বলছি, চার নং ল্যাপটপটা নিয়ে একটু বিস্তারিত বলতে হবে। কেন চার নং ল্যাপটপটা কিনতে হবে, কেন এই ল্যাপটপটা আপনি সাধারণত কেনা উচিৎ জেনেও কিনবেন না, কেন এই ল্যাপটপ নিজেই সর্বেসর্বা, এসব নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আসছে। সেই ল্যাপটপের খুঁটিনাটি দিক নিয়ে জানতে চোখ রাখুন বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে।দাম তথ্য
মূল্য গত ডিজিটাল এক্সপো ২০১১-তে ঘুরে সংগ্রহ করা হয়েছে। ওখানে দাম খুব একটা কমানো হয়নি বলেই জানা গেছে (দু’একটা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে দাম কমিয়েছে)। বরং ল্যাপটপের সঙ্গে টি-শার্ট, ওয়াইম্যাক্স মডেম ইত্যাদি উপহার দিয়েই ক্রেতা আকর্ষণ করেছে। ওয়েবসাইটে দাম আরেকটু বেশি দেয়া আছে। কিনতে গেলে কিছু কম দাম রাখবে। সেক্ষেত্রে উপরোক্ত মূল্যগুলোকেই এভারেজ হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে।* এইচডিএমআই হচ্ছে হাই-ডেফিনিশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
আপনি ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন?
আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড কোনটি? আপনি কোন ব্র্যান্ডের কোন মডেলের ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন? আপনার ব্যক্তিগত রিভিউ কী? মন্তব্যের ঘরে আমাদের জানান।
ল্যাপটপ কিনতে যাচ্ছেন? বর্তমান বাজারের চারটি ল্যাপটপ আপডেট
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন